প্রবাস ডেস্ক 11 September, 2023 11:06 AM
বাংলাদেশে বিতর্কিত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে তা দেশকে গভীর খাদে ফেলে দেবে এবং সেই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ দুরূহ হবে। দেশের শিক্ষা ও রাজনীতির ক্ষেত্রে নীতি ও আদর্শহীনতা, প্রকৃত রাজনৈতিক শূন্যতা, গণতান্ত্রিক পরিবেশের অভাব ও মূল্যবোধের অবক্ষয়, অংশগ্রহণশূন্য নির্বাচন, দুর্নীতিবাজ ও লুটপাটকারীদের সীমাহীন দৌরাত্ম দেশকে গভীর খাদের কিনারায় পৌঁছে দিয়েছে।
স্থানীয় সময় শনিবার সন্ধ্যায় প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক উদ্যোগ (পিডিআই)-কানাডার উদ্যোগে আয়োজিত ‘বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন: গণতন্ত্রের সংকট ও সম্ভাবনা’ বিষয়ক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। ড্যানফোর্থে টরন্টো ফিল্ম ফোরামের মাল্টিকালচারাল ফিল্ম স্ক্রিনিং সেন্টারে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. জসীম উদ্দিন আহমদ, ডাকসুর সাবেক এজিএস নাসির উদ দুজা এবং সাংবাদিক মো. আসিউজ্জামান। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন মনির জামান রাজু। উপস্থিত শ্রোতা-দর্শক সংলাপের প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশ নিয়ে দেশের রাজনীতির ভবিষ্যৎ নিয়ে মতামত তুলে ধরেন।
ড. জসীম উদ্দিন আহমদ বলেন, দেশের ও সমাজের সার্বিক নৈতিক অবক্ষয় এবং মূল্যবোধের সর্বনাশা পরিবর্তন হয়েছে। এ পরিস্থিতি থেকে বের হতে গেলে অনতিবিলম্বে শিক্ষাব্যবস্থার ব্যাপক পরিবর্তন করা প্রয়োজন। নির্বাচন কমিশন তার কর্মকাণ্ডের মাধ্যমেই নাগরিকদের তাদের প্রতি আস্থাহীন করে তুলছে। তাদের আচরণ এবং কথাবার্তায় মনে হয়, কমিশন স্বাধীনভাবে নয় বরং ক্ষমতাসীন সরকারের নির্দেশনা অনুসারে কাজ করে। ফলে তাদের পক্ষে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব কি না তা নিয়ে সংশয় থেকে যায়।’
সাবেক ছাত্রনেতা নাসির উদ দুজা বলেন, ‘‘খেলা হবে’ মার্কা আরেকটি নির্বাচন দেশকে চূড়ান্তভাবে খাদের গভীরে ফেলে দিবে। এতে যে জাতীয় সংকট তৈরি হবে তা থেকে ভবিষ্যতে দেশকে উদ্ধার করে নিয়ে আসা দুরূহ হয়ে পড়বে।’’
সাংবাদিক মো. আসিউজ্জামান বলেন, ‘বিদেশি শক্তির প্রভাব বেড়েছে, দেশ থেকে কোটি কোটি টাকা পাচার হচ্ছে, এবং আমলানির্ভরতা বৃদ্ধির কারণে সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক নির্বাচন করা খুব কঠিন হয়ে পড়েছে।’